পটুয়াখালী প্রতিনিধি : গত ১৬ জুন মধ্যরাতের ঘটে যাওয়া ঘটনা, ঢাকা থেকে প্রিন্স অব রাসেল-১ লঞ্চটি রাঙ্গাবালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মাঝ নদীতে বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ ঘটে লঞ্চটির তলা ফেটে যায় ফলে লঞ্চে পানি ঢুকে শুরু করে। মুন্সিগঞ্জ ব্রীজ পার হওয়ার পরে এ ঘটনা ঘটে। ২০০২ সালের সালাউদ্দিন-২ এর মত আরো একটি ট্রাজেডি ঘটে যেতো বলে মনে করেন লঞ্চে থাকা যাত্রীগণ।
রাঙ্গাবালীর একমাত্র বাহন এই লঞ্চ। কিন্তু সেই আদি থেকে এখন পর্যন্ত ভালো কোন লঞ্চ আসেনি এই রুটে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
রুটে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছেন জাহিদ-৭, রাসেল-১ এবং জামাল-৭ সহ ফিটনেসবিহীন আরো অনেক লঞ্চ। জাহিদ-৭ নামক লঞ্চটি আগে বোরহানউদ্দিন চলাচল করতো কিন্তু ফিটনেস না থাকায় সেখানের প্রশাসন মামলা দিয়ে বের করে দেয়। সাথে রাসেল-১ লঞ্চটিও পূর্বে বরগুনা রুটে ছিল, কিন্তু বরগুনার প্রশাসন তাদের রুট থেকে বের করে দিয়েছে। সেই সব ফিটনেসবিহীন লঞ্চ দিয়ে চালানো হয় রাঙ্গাবালী রুট। অন্যান্য লঞ্চগুলো যেমন জামাল-৭ সেম জাহিদ-৭ এর মতো অবস্থা থাকা সত্ত্বেও রাঙ্গাবালী রুটে এসব লঞ্চ দিয়ে সার্ভিস দেয়া হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।
রাঙ্গাবালীবাসীরা জানান, বোরহানউদ্দিন-বরগুনা যাতায়াত এর জন্য রয়েছে বাস। তারপরও তারা উন্নত মানের লঞ্চ চালাচ্ছে। আর এদিকে আমাদের যাতায়াত এর একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ। সেখানে আমারা আমাদের এই যাতায়াত ব্যাবস্থা উন্নতি করতে পারিনি। এই খবর মালিক পক্ষ ধামা চাপা দিতে চেয়েছে। আমাদের পাশের রুট গলাচিপা, আমতলী, কালাইয়া যেখানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আধুনিক লঞ্চ এর ছড়াছড়ি সেখানে আমাদের প্রশাসন এখনো চোখ বুঝে বসে আছে। আর একটি সালাউদ্দিন-২ এর মতো ট্রাজেডি হলে আপনাদের চোখ খুলবে? গত ১৬ জুনের এই লঞ্চেই আপনাদেরই আপনজন ঠিক এভাবে বিপদে পড়তে পারে। এখনি এই বিষয়টির পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন বলে দাবি করেন রাঙ্গাবালীবাসী।
তারা আরো বলেন, প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষন করছি আপনারা এসব ফিটনেহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ করুন। তা না হলে খুব শীঘ্রই ঘটবে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এই রুটের মানুষের প্রশাসনের হুস ফিরবে আবার সালাউদ্দিন-২ এর মতো ট্রাজেডি ঘটলে, আবার একবার গন কবর দিলে।
গতকাল ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে আল্লাহ্ আমাদের নিজ হাতে রক্ষা করেছেন বলে জানান লঞ্চে থাকা যাত্রীগণ।
রিপোর্ট:সাইফুল ইসলাম সায়েম।